দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এছাড়া উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো।

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। গত সোমবার (২৪ জুন) বিকেল থেকে প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ইউনিট চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।

পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২০২০ সালে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে গত ২৪শে জুন বিকেলে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিদ্যুত কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বন্ধ করা হয়। বর্তমানে শুধু দ্বিতীয় ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

একারণে পটুয়াখালী সহ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলোয় লোডশেডিং তীব্র হয়েছে। নিত্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বিদ্যুৎ গ্রহীতারা। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান, সর্বত্রই দুর্ভোগ। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো।

রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ করে বন্ধ হওয়া ইউনিটটি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আবারও চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা।

এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ই জুন দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যার পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়।